মিয়ানমার সফররত পোপ ফ্রান্সিস তার ভাষণে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি সরাসরি এড়িয়ে গেছেন। এমনকি তিনি ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটিও মুখে আনেননি।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকের পর ভাষণ দেন পোপ।
পোপ তার ভাষণে সম্প্রীতির ডাক দিয়ে মিয়ানমারের প্রতিটি জাতিসত্ত্বা ও জাতিগোষ্ঠীকে সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময় দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা যে দুর্দশার শিকার সে বিষয়ে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।
পোপের সফরের আগে মিয়ানমারের ক্যাথলিক চার্চের যাজকরা ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহারের ব্যাপারে তাকে সতর্ক করেছিল। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে সমর্থন দেওয়ার জন্য পোপকে তার ভাষণে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ করার আহ্বান জানিয়েছিল।
পোপ তার ভাষণে বলেছেন, ‘মিয়ানমারের ভবিষ্যত অবশ্যই শান্তি। এই শান্তি সমাজের প্রত্যেকের সম্মান ও অধিকার রক্ষার ভিত্তিতে,প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীকে সম্মান ও তাদের পরিচিতি দেওয়ার মাধ্যমে,আইনের শাসনের প্রতি সম্মান জানানোর মাধ্যমে এবং গণতান্ত্রিক আদেশকে শ্রদ্ধার মাধ্যমে যা প্রত্যেক ব্যক্তি ও দলকে বাদ না দিয়ে সকলের কল্যাণের জন্য আইনগত অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।’
তিনি বলেন, ‘শান্তি অর্জনের কষ্টকর প্রক্রিয়া এবং জাতীয় পুনর্গঠন কেবল বিচারের প্রতিশ্রুতিশীলতাও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে অর্জিত হয়।’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply